ব্রয়লার মুরগি: জেনে নিন ৭টি ভয়ংকর বাস্তবতা‼️
১. ৪০ দিনে জোর করে বড় করা হয়:
প্রাকৃতিকভাবে একটি মুরগি বড় হতে যেখানে ৫-৬ মাস সময় নেয়, সেখানে ব্রয়লার মুরগিকে মাত্র ৪০ দিনে কৃত্রিম খাবার ও ওষুধ দিয়ে ওজনদার করে তোলা হয়।
২. স্টেরয়েড ও অ্যান্টিবায়োটিক মিশ্রিত খাদ্য:
দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগিকে হরমোন ও স্টেরয়েডজাতীয় খাদ্য দেওয়া হয়। এগুলো খেলে মানুষের শরীরেও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
৩. পানি নয়, ৩০% পর্যন্ত শরীর ফোলা থাকে ইনজেকশনের ফলে!:
বাজারে বিক্রির আগে অনেক ব্রয়লার মুরগিকে ইনজেকশন দেওয়া হয় যাতে তারা মোটা ও ভারী দেখায়, এতে তাদের শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যায়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় নেই:
এত দ্রুত জন্মানোর কারণে ব্রয়লার মুরগির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল থাকে এবং অল্পতেই সংক্রমিত হয়।
৫. অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লালন-পালন:
গরম, স্যাঁতসেঁতে, ঘিঞ্জি ঘরে শত শত মুরগিকে একসাথে লালন-পালন করা হয়, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
৬. মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি করতে পারে:
নিয়মিত ব্রয়লার মুরগি খেলে মানুষের শরীরে ওষুধের প্রতিক্রিয়া কমে যেতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে কোনো সংক্রমণে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে।
৭. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:
বারবার হরমোনযুক্ত মাংস খাওয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
0 Comments