আমায় রেখো প্রিয় শহরে|নুসাইবা এহসানা প্রাপ্তি| পর্ব-১

দশ বছরের বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করে তাকে রেখে রাগ করে বিদেশ চলে যায় আয়ুশ, আজ প্রায় সতেরো  বছর পর নিজের বোনের বিয়ের দাওয়াতে দেশে ফিরে আসছে। বিয়ে বাড়িতে উৎসব আর আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে, সকলে আয়ুশের আগমনে অনেক খুশি। আয়ুশ বিমান থেকে নেমে দাঁড়ায় এয়ারপোর্টে, সামনে তাকিয়ে দেখে তার বোন মা বাবা সহ আরো অনেকে তার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রায় সতেরো বছর পর আয়ুশ নিজের পরিবারকে দেখছে, তার চোখ জুড়িয়ে যায়। কতো একাকিত্ব আনন্দ বেদনা মুহূর্ত কাটিয়ে দিয়েছে এই পরিবারের সাথে।

আয়ুশকে দেখে তার মা এগিয়ে আসে তার চোখে পানি জমা হয়ে গেছে, তার ছেলে এতোদিন তার থেকে দূরে থেকেছে। বিদেশে রাগ করে যাওয়ার পর পরিবার কোনো সদস্যর সাথে সে যোগাযোগ করে নাই, এমনি কি কারো সাথে ফোনে কথা অবধি বলে নাই সকলের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে নিজেকে। আয়ুশের মা মনিরা সুলতানা বলেন - 

"- আয়ুশ তুমি এসে পড়েছো? আয়ুশ তুমি যান এতোদিন কত মিস করেছি তোমাকে? মায়ের সাথে রাগ করে কি এতো দূরে থাকা যায়? একবার ফোন করে কথা বললে কি হতো?  

আয়ুশ তার মায়ের কথা শুনে তার কাছে যায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মনিরা বেগমকে, সতেরো বছর দূরে থাকার ফলে যে যে রাগ অভিমান জমা হয়েছে যা নিমিষেই হারিয়ে যায়। আয়ুশের চোখে জল চলে আসে সে বলে - 

"- আম্মু তোমাকে অনেক মিস করেছি আমি? বিশ্বাস কর আম্মু এতোদিন তুমি শিফা আর পরিবারের সবার থেকে দূরে থাকতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আই মিস ইউ আম্মু "।

আয়ুশ আর মনিরা বেগম একে অপরের সাথে কথা বলে, ছেলেকে  এতোদিন পর কাছে পেয়ে তার মনে শান্তি অনুভব হয়। শিফা আয়ুশের বোন এগিয়ে আসে সে হেঁসে বলে - 

"- ভাইয়া শুধু কি আম্মু তোমার জন্য কষ্ট অনুভব করেছে। তোমাকে ছাড়া আমরা কেমন ছিলাম, তা যানার ইচ্ছা তোমার নাই? বিদেশ থেকে এসেই আমার আদরে ভাগ বসিয়ে দিলে?  

শিফার কথা শুনে আয়ুশ ওর কাছে যায় তার ছোট বোনের মাথায় হাত রাখে। সতেরো বছর আগে কতো ছোট ছিলো আর এখন কয়দিন পর তার বিয়ে হবে। আয়ুশ গিয়ে শিফার গাল টেনে ধরে এরপর বলে - 

'- শিফা তোকে আমি অনেক মিস করেছি। বিদেশ থেকে তোর জন্য অনেক চকলেট, আইসক্রিম, আর বিভিন্ন ড্রেস নিয়ে এসেছি। চল বাড়ি ফিরে দেখবি সব, আর বোনের বিয়ে বলে কথা সব কাজ নিজের হাত শেষ করব। 

আয়ুশ সকলের সামনে কথা বলে এরপর সে গাড়ি করে বাড়ি ফিরে আসে, রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখে তার পরিচিত শহর আজ বদল হয়ে গেছে। এখন নতুন রাস্তাঘাট সহ আরো উন্নত হয়ে গেছে, আয়ুশ সব দেখ অনেক খুশি হয়।

তালুকদার বাড়ি বিয়ে উপলক্ষে সাজানো হয়েছে শুধু তাই না, আজ আয়ুশ বাড়ি ফিরবে যার জন্য উৎসব পরিমাণ দিগুণ হয়ে যায়। তালুকদার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়, গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায় আয়ুশ শিফা আর মনিরা বেগম ও বের হয়।  আয়ুশ বাড়ি দিকে তাকিয়ে হাসে আজ কতো বছর পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসছে, ছোটবেলা কাটানো সকল মূহুর্ত তার সামনে এসে ধরা দেয়। আয়ুশ বলে - 

"- প্রায় সতেরো বছর পর বাড়িতে ফিরে আসলাম। যদিও বাড়ি আগে থেকে একটু ও বদল হয় নাই অনেক মিস করেছি এই বাড়িকে "।

আয়ুশ বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় শিফা আর মনিরা বেগম ও সেখানে তার পরিবার রয়েছে। আয়ুশের চাচা চাচি আর তার দাদি। মূলত আয়ুশের যার সাথে বিয়ে হয়েছে সে তার চাচার মেয়ে আদ্রি, কিন্তু সকলের ভিড়ে আদ্রির চেহারা দেখা যাচ্ছে না। কোথায় হারিয়ে গেছে তা যানা নাই,আয়ুশের ছোট চাচার মেয়ে আদ্রি তার মা বাবা ছোটবেলা এক্সিডেন্ট মারা যায়। আর আয়ুশের আরেক চাচা রয়েছে যার এক ছেলে আর এক মেয়ে রয়েছে সিমি আর সাহিত্য। 

আয়ুশ আদ্রিকে যথেষ্ট ঘৃণা করে তবে সে সকলের ভিড়ে তাকে খুঁজে যাচ্ছে। আয়ুশ মনে মনে বলে - 

"- এই আদ্রি কোথায়? ও কি বাড়িতে নেই? না অন্য কোথাও চলে গেছে? মনে হয় বাড়ির কোনো জায়গায় পড়ে আছে আর ঘরের কাজ করছে। 

আয়ুশ আর বেশি ভাবে না আদ্রিকে নিয়ে কারণ সে শুধু ঘৃণা করে তাকে শুধু ঘৃণা। 

এসেছি তোকে নিয়ে ফিরব বলে গল্পটা আমার কিন্তু পরীক্ষার জন্য অল্প সময় দিতে পারি নাই। এর মধ্যে অন্য একজন কাহিনি চুরি করে লেখা শুরু করে দিয়েছে তাই নতুন করে শুরু করেছি।

Post a Comment

0 Comments