ভালবাসার গল্প: একই পথের বিপরীত সঙ্গী|ঈশিতা রায়|পর্ব-২
আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। হয়তো সময় পেরোলেই বৃষ্টি ধরনীতে এসে নামবে। সেই বৃষ্টিতেই সব হাহাকার মিশে একাকার হয়ে যাবে। এই আকাশটাও হয়তো ধরে ফেলেছে যে আমার হৃদয়ে তার মতোই দুঃখ তাই তো আমাকে সঙ্গ দিতে সে এক পশলা বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ট্রেনটা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোনোর আগেই মানুষটা ছুটে এসে কোনোরকমে চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ল। আমি তার কাজকর্ম দেখে খানিকটা অবাক হলাম আজব মানুষ। প্ল্যাটফর্ম এ এতক্ষণ ধরে বসে বসে মেয়ে দেখছিল। অদ্ভুত দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল ট্রেন টা যতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল ততক্ষন ট্রেনে উঠেনি যেই ট্রেন ছেড়ে দিল সেই আবার ছুটতে ছুটতে চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ল। মরার শখ জেগেছে বোধ হয়! যাই হোক মেয়ে দের ওপর এমনভাবে তাকাচ্ছিল দেখে মনে হল এক নম্বর এর লোফার। মেয়ে দেখলেই টুকুর টুকুর তাকাতে হবে এদের। ফালতু মানুষ সব।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বাইরে দৃষ্টি রাখলাম। মৃদু মন্দ শীতল বাতাস ছুঁয়ে দিল আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে। বিষাদ টুকু ধীরে ধীরে কমে আসতে লাগল। ঠিক তখনি আমার পাশে কারো উপস্থিতি টের পেলাম। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম সেই অদ্ভুত লোফার লোকটা আমার পাশে এসে বসেছে। কপালের ঘাম টুকু মুছে এদিক সেদিক তাকাল।আমি তার মুখের দিকে দৃষ্টি রাখলাম। হৃদয় হয়ে উঠল আমার বিচলিত। কেন জানি মানুষটাকে ভীষণ চেনা চেনা লাগল।কোথাও একটা দেখেছি দেখেছি মনে হল আমার। অস্পষ্ট রূপে মানসপটে সব ভাসতে লাগল কিন্তু কিছুতেই ঠাহর করতে পারলাম না মানুষটা কি আমি কোথায়, কখন ,কবে দেখেছি?
- মেয়ে দের এইভাবে নির্লজ্জ এর মতো পুরুষ মানুষ কে চেয়ে থাকতে নেই।
চোখ দুটো কপালে উঠল আমার। মানুষটা তো আমার দিকে এক পলক ও তাকায় নি তবে বুঝল কি করে আমি তার দিকে চেয়ে আছি?ইশশ ভীষণ লজ্জা নিয়ে অন্য পাশে ঘুরে তাকালাম। এক সেকেন্ড মানুষ টা আমাকে নির্লজ্জ বলল? এত সাহস? নিজে তো মেয়ে দের দিকে ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল প্ল্যাটফর্মে আর আমাকে নির্লজ্জ বলছে? আমি মানুষ টার দিকে আবার দৃষ্টি ঘোরালাম খানিকটা দৃঢ় কন্ঠে বললাম
- আপনি আমাকে নির্লজ্জ বললেন কোন সাহসে?
মানুষ টা কিছু বলল না। ব্যাগ টা পাশে রেখে পা এর ওপর পা তুলে চোখ বুজে ফেলল। আমি হকচকিয়ে গেলাম।কিন্তু পেছনে হাটলাম না। আবার দৃঢ় কন্ঠে খানিকটা জোর গলায় বললাম
- এই যে আপনাকে বলছি।আপনি কোন সাহসে আমাকে নির্লজ্জ বললেন?
পরনে শাড়ির আঁচল টুকু কোমরে পেঁচিয়ে নিলাম। মানুষটা এবার চোখ খুলল আমার দিকে গম্ভীর দৃষ্টি তাক করল। এতটা তেজ সেই নীল রঙা চোখের আমার যে হৃদয় এতক্ষণ দৃঢ় হয়ে ছিল সেই হৃদয় টাও এখন নড়ে উঠল। আবার মনে হল এই নীল রঙা মণির অধিকারী দুটি নয়ন আমি দেখেছি কোথাও। কিন্তু কিছুতেই মনে পড়ছে না। খানিকটা ঘাবড়ালাম আমি। জানলার দিকে আরেকটু সরে আসলাম। ঠোঁট টুকুন ভিজিয়ে নিলাম জিভ দ্বারা। তখনি পুরুষালি গম্ভীর কন্ঠস্বর ভেসে এল
- যেই সাহসে আপনি আমার দিকে বেহায়ার মতো তাকিয়ে ছিলেন।
মস্তিষ্ক তড়াক করে গরম হল। একবার নির্লজ্জ আরেকবার বেহায়া। আশ্চর্য পুরুষ তো! হ্যাঁ মানলাম আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ ধরে কিন্তু দৃষ্টি তার দিকে থাকলেও মন ছিল আমার অন্যদিকে আমি তো এটা ভাবছিলাম যে এই মানুষ টার সাথে আবার আগে পরিচয় হয়েছে কি না সেই নিয়ে আমি তাকিয়েছিলাম। কপট রাগ দেখিয়ে এবার বললাম
দেখুন,প্রথমত আমি নির্লজ্জ বেহায়া কোনোটাই নই। আপনাকে আমার চেনা চেনা ঠেকছিল তাই আপনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নির্লজ্জ তো আপনি মেয়ে দের প্ল্যাটফর্ম এ ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। নিজে চোর হয়ে অপরকে চোর বলছেন? লোফার কোথাকার!
মানুষটার কপালে তিনটা ভাঁজ পড়ল। চোখটা আরেকটু গভীর হল তার।চাহনি তীক্ষ্ম করে শান্ত স্বরে বলল
বেশ তাহলে এই লোফার টার,থেকে দূরে দূরে থাকুন।
আজব তো! আমি তার কোলে বসে আছি নাকি?উনি এসে আমার পাশে বসেছেন আবার আমাকে বলছেন দূরে দূরে থাকতে। নির্ঘাত পাগলাগারদ থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী। আমি কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। বেকার বেকার সময় ও শক্তি খরচ করার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ব্যাগটা পাশে রাখলাম বর্ডার করে আরেকটু ঘেষে বসলাম জানলার দিকে। মুখ বাঁকিয়ে জানলার বাইরে দৃষ্টি রাখলাম।
মনটা আবার বিষন্নতায় ভরে গেল। বাবার কথা খুব মনে পড়ল ভীষণ। বাবা বেঁচে থাকলে আজ আমাকে আগলে রাখত ঠিক রাজকুমারীর মতো। অভাবের সংসারে আমাকে রাজকুমারীর মতো লালন পালন করত। কিন্তু আফসোস ছোট বেলা থেকেই বাবা মা হারা মেয়ে আমা। আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে আমার মা মারা গেছেন। আর বাবা তো আমাকে সুখে রাখার জন্য নিজের জীবন টুকু বলিদান দিয়ে দিলেন। চলে গেলেন আমাকে একলা রেখে মা এর পিছন পিছন। আমার এখনো মনে আছে সেদিন ছিল কালবৈশাখীর গভীর রাত। বাবা শহরে গিয়েছিল জরুরি কাজের জন্য, সম্ভবত ঋণ পরিশোধ করতে। তিনি ঋণ পরিশোধ করতে শহরে গেলেন ঠিকই কিন্তু আর ফিরে এলেন না। শুধু ফিরে এল দুঃসংবাদ " ইরার বাপ মারা গেছে।" তিন পেরিয়ে তখন আমার বয়স চার। ঠাম্মি ছিল আমার। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি মূর্ছা গেলেন। আমি তখন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম ছোট্ট মস্তিষ্কে বুঝে না উঠতে পারলেও অনেক কিছু বুঝে গেল। মৃত্যু কি এটা বোধগম্য না হলেও এতটুকু বুঝতে পারলাম বাবা আমার আর আসবে না।বাবা মা এর কাছে চলে গেছে চিরতরে।
মা যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছিল তখন বাবা মা কে এই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান কিন্তু বাবা আমার সামান্য কৃষক হওয়ায় টাকা তখন হুট করে এত টাকা জমা করানো দুষ্কর হয়ে পড়েছিল সাথে রক্ত লাগত এ পজিটিভ। তখন এক ভদ্রলোকের এর কাছে উনি টাকা ধার নেন কোনোরকম রক্ত জোগাড় করে ফেলেন। কিন্তু আফসোস এত কিছু করেও মা কে বাঁচানো গেল না। আমাকে জন্ম দিয়েই মা পাড়ি জমান তারার দেশে।আর তখনি কাল হয়ে উদয় হন মা এর বাড়ির লোকেরা। মামা মামী বাবা ও আমাকে অনেক কথা শোনান। আমার নাম তখন অনেক ধরনের হয়ে যায় যেমন - অপয়া,অলক্ষ্মী আরো অনেককিছু। বাবা এত কিছু সহ্য করে আবার আমাকে গ্রামে আনেন। আমার গ্রাম টার,নাম "সুদর্শন পুর"। শৈশব টুকু ওখানে কাটানো কালীন আমার বিয়ে হয়ে যায়।
- জানলা টা বন্ধ করে দিন।বৃষ্টির ঝিটাস ঢুকছে।
ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলাম লোফার লোকটার কথায়। নয়ন থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। সাথে সাথে হাতের উল্টো পিঠে মুছে ফেললাম আমি। এরপর দেখলাম আমার শাড়ির কোল টা ভিজে গেছে বৃষ্টির ঝাপটায়। ব্লাউজ টুকু একপাশে টা ভিজে একাকার।সাথে সাথে জানলা বন্ধ করে দিলাম। চোখ মেলে পাশে তাকালাম। দেখলাম মানুষটা খুব গম্ভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছেন।চোখ বুজে মাথা ঠেকিয়ে দিয়েছেন পেছনে। পরনে তার কালো টিশার্ট এর ওপর লাল কালো চেক শার্ট আর জিন্স । গা এর রঙ অত্যন্ত ফর্সা, বসে বলিষ্ঠ চেহারার তার,শক্ত পোক্ত গড়নের মানুষটার বয়স খুব সম্ভবত ত্রিশ সবে অনুমান করলাম। ইতিমধ্যে আরো অনেকে উঠে বসেছে সিটে।আমার মুখোমুখি সিটে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা ও তিনজন বয়স্ক লোক বসেছেন। আমাদের সিটে আমি ,লোফার লোকটা আর বাকি দুজন মধ্যবয়স্ক মানুষ। জেনারেল কামরায় উঠেছি কোনো দিক বিবেচনা না করেই।
- আবার বেহায়ার মতো তাকিয়ে আছেন?
ইশশ ইচ্ছে করল চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে। আশেপাশের মানুষ জন কৌতূহলী দৃষ্টি রাখল। আমি লজ্জায় দাঁত কটমট পাশে ফিরে,তাকালাম।উফফ এই মানুষ টা বড্ড অস্বস্তিতে ফেলছে আমাকে। কেন যে লেডিস কামরায় উঠলাম না।নিজেকে বড্ড বোকা মনে হচ্ছে এখন। মানুষটাকে আড়চোখে আবার তাকালাম।এই চোখগুলোর না জানি কি হয়েছে বারবার তার দিকেই চেয়ে চেয়ে দেখছে মানা করার পর।এত অবাধ্য কেন? কেন বারবার মানুষটা কে দেখবে সে? উত্তর টা হয়তো নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি তাই।
দেখলাম মানুষ টার ঠোঁটে মৃদু হাসি। আশ্চর্য মানুষ টা হাসছে কেন? আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে কি তিনি খুব মজা পাচ্ছেন? ভীষণ মাথা গরম হল আমার। ট্রেন টা কোথায় যাচ্ছে জানি না।টিকিট কেটে নিয়েছি একদম শেষ গন্তব্য যেখানে সেই স্টেশন অব্দি। তারপর উঠে পড়েছি। এখন নিজের হেঁয়ালি পনায় রাগ ধরছে। নাহ এর পরের স্টেশনেই নেমে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। মুখোমুখি যে বয়স্ক লোক বসেছিলেন তাকে জিজ্ঞেস করলাম
- কাকু? এর পরের স্টেশনের নাম কী?
লোকটি থেমে থেমে বলল
- এরপর তো ট্রেন একেবারে লাস্ট স্টেশনের থামবে মাঝে আর কোথাও থামবে না তো মা। একে বারে ভোরে থামবে। কিছু কিছু জায়গায় কাজ হচ্ছে তো তাই সেই স্টেশন গুলো তে এই ট্রেন যাবে না।
- কি?
আকাশ থেকে পড়লাম। তার মানে আমাকে এখন এই অস্বস্তি কর অবস্থায় সারা রাত কাটাতে হবে? রাগে,দুঃখে বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। পেট খিদেয় চো চো করছে।সেই সকালে একটু মুড়ি খেয়ে ছিলাম তারপর আর কিছু খাওয়া নেই।দুপুর তিনটেয় ট্রেনে চেপেছিলাম।ঘড়ি নেই আমার কাছে তাই জিজ্ঞেস করলাম আবার
- কটা বাজে এখন কাকু?
- ছ টা বাজে মা।
শ্বাস ফেলে মাথা ঠেকিয়ে দিলাম জানলায়। লোকটা দেখি সেই চোখ বুজে আছে তো আছেই। ঘুমিয়ে পড়ল মনে হয়। ঠিক তখনি একজন চা ওয়ালা আসল চা বিক্রি করতে।ভাবলাম মন টা আর মাথাটা ফ্রেশ হবে চা খেলে।লোকটাকে দাঁড় করিয়ে বললাম
- দাদা এক কাপ কড়া লিকার চা দাও তো।
- আমার জন্যেও এক কাপ।
চোখ বন্ধ করেই লোফার মানুষটা বলল।সে কি! মানুষ টা তাহলে ঘুমোয়নি। দু কাপ চা এগিয়ে দিল দাদা টা।আমি একশটাকা এগিয়ে দিলাম দাদা বললেন
- খুচরো নেই বোন আমার কাছে।
আমি পার্স হাতড়ালাম। খুচরো পেলাম না। অসহায় মুখে তাকালাম ওপাশ থেকে নীরবে দুটো দশ টার নোট এগিয়ে দিল লোফার লোকটা।আমি বিরোধ করে বললাম
- আপনি কেন দিলেন?
- ধার দিলাম ।এবার আপনি যদি দিতে পারেন তো দিন আমার কোনো অসুবিধা নেই।
জীবনে এতটা অসহায় আমি কখনো হয়নি।দশ টাকা না থাকার কারণে নিজেকে কেমন ছোট ছোট ঠেকল।মূল্য বুঝতে পারলাম দশ টাকার। কিন্তু এভাবে তো চলবে না। আমি বললাম
- আপনার ধার লাগবে না। আপনার ধার রাখুন আপনার কাছে।আমাকে নব্বই টাকা দিন আর একশ টাকা টা নিন।
চা এর কাপে চুমুক দিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল
- খুচরো নেই আর।
আমি রাগে ফোঁস ফোঁস করে মুখোমুখি যিনি বসেছিলেন তাকে বললাম
- কাকু আপনার কাছে একশ টাকা খুচরো হবে?
লোকটা মাথা নাড়ল।খুশি হলাম বেশ।তিনি একশ টাকা খুচরো দিলেন আমি নোট টা বাড়িয়ে দিলাম।এরপর সেখান থেকে দশ টাকা বাড়িয়ে দিলাম। তিনি দু আঙুলে নোট টা চেপে ধরে পকেটে ঢুকিয়ে নিলেন। এখন চা টা গলা দিয়ে নামবে। সুন্দর করে চা এর কাপে চুমুক দিলাম। শরীরটা এখন তরতাজা লাগছে।বৃষ্টি কমে এসেছে তাই জানলা টা আবার খুলে দিলাম। বেশ শীতল বাতাস ছুঁয়ে দিল আবার। আমি উপভোগ করলাম বৃষ্টি ভেজা এই সন্ধ্যা।
রাত গভীর হল। খেয়ে দেয়ে সবাই ঘুমে তলিয়ে গেছে।আমার চোখেও ধীরে ধীরে ঘুম নামছে।লোফার লোকটাও মাথা নীচু করে বুকে হাত গুঁজে ঘুমোচ্ছে। আশ্চর্য এতক্ষণ মাস্ক ছিল না এখন দেখি মাস্ক পরে ঘুমিয়ে আছে। আজব সব মানুষ! আমিও ধীরে ধীরে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলাম।
রাত একটা বাজতে যায় হঠাত্ শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আমার।পাশে চেয়ে দেখি লোকটা নেই। কপালে ভাঁজ পড়ল আমার।রাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে ফেলল না তো! সবাই দেখি ঘুমোচ্ছে যে যেখানে পেলেছে মেঝেতে শুয়ে পড়েছে। পা রাখার জায়গা নেই। এই অবস্থায় মানুষ টা কোথায় গেল? হঠাত্ মনে হল আমি একটু বেশি ভাবছি তাকে নিয়ে যে যেখানে পারে যাক।আমার তাতে কী!
0 Comments