সন্তানের সুখ| মরিয়ম জাহান উর্মি| পর্ব-২

জীবনের গল্প: সন্তানের সুখ| মরিয়ম জাহান উর্মি| পর্ব-২

আমি এবার আর দারিয়ে থাকতে পারলাম না পরে গেলাম ফ্লোরে কিন্তু জ্ঞান হারাই নি শরীরটা ভিষন দুর্বল শরীরে বল নেই।  আমায় পরে যেতে দেখে মেহরুল বিছানা থেকে তারাতাড়ি উঠে এসে আমায় ধরতে নেয় আমি হাত দিয়ে ইশারায় বাধা দেই। মেহরুল মনে হয় একটু আবাকই হলো এমন করায় তবুও সে আমায় তুলে বিছানায় বসিয়ে বলল



এই অনু ঠিক আছো তো তুমি? পরে গেলে কি করে?  এই অনু

আমি নিভু নিভু চোখে চেয়ে বললাম,

--আমি ঠিক আছি 

--না তুমি ঠিক নেই বলো কি হয়েছে শরীরকি বেশি খারাপ?

--না  ঘুমালেই ঠিক লাগবে ছারো আমায়

মেহরুল আমার বাহু ধরেছিলো আমার কথা শুনে ছেরে দিয়ে বলল

--তুমি কিছু খেয়েছো?

--হুম

--তাহলে শুয়ে পরো। 

আমি না খেয়েও খেয়েছি বললাম কি করে খাবো আমি? এমন পরিস্থিতিতে কার গলা দিয়ে ভাত নামবে? আমি শুয়ে পরলাম। মেহরুলও শুয়ে পরলো পাশে আমার শরীরের সাথে তার শরীর সংস্পর্শে। একটু পরেই ওনার ফোনে কল এলো আমি শব্দ পেয়ে পাশ ফিরে দেখলাম মেহরুলের মুখে হাসি   আমার বুকটা ধুকধুক করতে লাগলো আমি বলেই ফেললাম,

--এত রাতে কে কল করলো?

মেহরুল বিছানা থেকে উঠতে উঠতে বলল,

--একটা দরকারি কল, তুমি ঘুমিয়ে পরো 

বলেই বেলকনিতে চলে গেলো । আমার সন্দেহ যেনো থেকেই গেলো। তবুও ঘুমানোর নাটক করলাম কিছুক্ষণ। কিন্তু মেহরুল এলো না তাই আমি চুপি চুপি বেলকনির সাইডে গিয়ে দারালাম কি কথা হচ্ছে শুনার জন্য।কান খারা করে শুনতে পেলাম মেহরুল বলছে

--না ঘুমাইনি এখনো তুমি এখনো জেগে? 

--তাই

আচ্ছা ঘুমিয়ে পরো অনেক রাত। রাত জেগে চেহেরা নষ্ট করো না,

ওকে কাল কল করব আবার, এবার যাও ঘুমাও আমিও যাই নয় তো অনু সন্দেহ করবে,

আমি শুধু মেহরুলের কথা শুনতে পেলাম ফোনের ওপাশের কথা শোনা গেলো না। কিন্তু মেহরুল কার সাথে এই ভাবে কথা বলল? আর আমি সন্দেহো করব এই'কথা টাই বা কেনো বলল? 

আমার বুকের ধুকধুক আরো বেরে গেলো গলা দিয়ে ঘাম গরিয়ে পরছে আমি তারাতারি পা চালিয়ে বিছানায় সুয়ে ঘুমানোর নাটক করলাম। মেজরুল রুমে এসে সুয়ে পরলো আমায় জরিয়ে ধরে,আমার  তখন যে কি রকম অসস্তি হচ্ছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। ঘুমের ভান করেই তার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম ভিষন কান্না আসতিছে তাও সামনে নিলাম,

ফজরের আজান দিচ্ছে আজান কানে পরতেই ঘুম ভাঙে আমার আরমরা হয়ে উঠে ওয়াসরুমে গেলাম অযু করে নামাজ আদায় করে মোনাজাতে হাত তুলে আল্লাহর কাছে একটি সন্তান চেয়ে নিঃশব্দে কেদে দিলাম। আল্লাহর কাছে কেদে কেদে বললাম

"ইয়া আল্লাহ, আমার রব, আপনি তো পরম করুনাময় এই অভাগির  দিকে একটু মুখ তুলে তাকান আল্লাহ। আমায় একটু দয়া করুন মালিক আমি যে আর ধৈর্য ধরতে পারছি না আল্লাহ আজ ধৈর্য ধরতে ধরতে একদম ডিভোর্সের কিনারায় এসে পরেছি আল্লাহ একটি সন্তানই পারে আমার সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। আমি কি মাতৃত্বের সাধ পাবো না ইয়া আল্লাহ? আমায় কেনো এমন শাস্তি দিচ্চেন আমি তো কখনই কারো ক্ষতি করি নি আর যদি করেও থাকি সেটা হয়তো অজান্তেই আমি মাফ চাচ্ছি তবুও আমায় একটি সন্তান দিন আল্লাহ......আমিন

চোখের পানি যেনো থামার নাম নিচ্ছে না বার বার ফুপিয়ে উঠছি মনে হয় এবার জরেই কান্না করে দিব। আমি জায়নামাজ গুছিয়ে রেখে ছাদে গেলাম মেহরুল এখনো ঘুমে আটটা না বাজলে উঠবে না।  ছাদের কিনারায় চোখ খিচে দাঁড়িয়ে রইলাম কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা মাএ। এবার সত্যি ফুপিয়েই কেদে উঠলাম চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে কি করে আমি তার ভাগ অন্য কাউকে দিব? পারবো কি? পৃথিবীর সব কিছুর ভাগ দিলেও স্বামী ভাগ কোনো নারী দিতে পারবে না আমিও তার ব্যতিক্রম নই। চোখের সামনে আগের সৃতি গুলো ভাষতে লাগলো 

সয়মটা কলেজে পরার সময় যখন আমি কলেজে পরি তখন মেহরুল আমায় পছন্দ করতো বলে আমার পিছু নিতো। সে আমার ৪ কি ৫ বছরের বড় হবে তখন সে বেকার ছিলো আমি সবে কজেলে পরা শুরু করেছি। মেহরুল আর আমার বাসা প্রায় ৪০ মিনিটে দুরত্ব। আমি যখন কলেজে যাই ওর বাসার সামন দিয়েই যেতাম তখন থেকে সে আমায় দেখতো আমি প্রথমে বুঝি নাই পরে আসতে আসতে বুঝলাম কেউ আমায় ফলো করে। একদিন মেহরুলকে দেখেই ফেললাম সোজা সামনে গিয়ে বলেছিলাম

--কি বেপার?পিছু নিচ্ছেন কেনো? 

--কই না তো কখন? আমি তে এমনি হাটছিলাম

--ওহ তাই বুঝি

--হুম

--মিথ্যা কথা বলার জায়গা পাননা?

--মিথ্যা না সত্যি 

-- নাম কি আপনার?

--হুম?

--নাম,নাম কি আপনার? কানে শুনতে পাননা?

একটু ক্ষিপ্ত কন্ঠেই বলেছিলাম তিনি বললেন

--মেহরুল  দেওয়ান। তোমার নাম কি?

--আমার নাম না জানলেও চলবে

বলেই কলেজে যাই পিছন থেকে মেহরুল বললেছিল

আরে নামটা তো বলে যাও মেয়ে 

আমি শুনেও না শুনার ভান করেই কলেজে যাই। এই ভাবেই কিছু দিন চলছিলো একদিন মেহরুল আমায় রাস্তায় দার করিয়ে বলল

এই তুমি রোজ রোজ একা যাও কেনো? তেমার কি বান্ধবী নেই

আমি কটমট চোখে তাকিয়ে বলেছিলাম

না নেই কেনো আপনি হবেন নাকি আমার বান্ধবী? 

মানে কি যে বলো না বান্ধুবী হতে যাব কেনো আমি তো তোমার,

আমার কি?

তোমার জামাই হতে চাই 

ফাজলামো করেন? 

না সত্যি 

সামনে থেকে সরুন যেতে দিন আমায়,

বললে না যে?

কী?

রোজ একা যাও কেনো?

আমি বুঝেছি এই ছেলে না শুনা অব্দি ছারবে না তাই বললাম 

আমার বাবার চাকরি সুর্তে জায়গা বদলি হয় তাই আমার কোনো নিদিষ্ট বন্ধু নেই 

বলেই পাশ কেটে চলে যাই সেদিনের মতো। এই ভাবেই রোজ রাস্তায় চোখাচোখি হত আমাদের একসময় আমিও তাকে ফিল করতে শুরু করি অবশেষে প্রেমে পরি। 

এই মেয়ে এত সকালে ছাদে কি করছো 

পিছন থেকে কারো কন্ঠ কর্নপাত হতেই ভাবনা থেকে বের হলাম পাশ ফিরে দেখলাম আমার শ্বাশুড়ির বোন  এই দিকেই আচ্ছে। তিনি আবারো বললেন

কি গো মেয়ে চেয়ে আছো কেন?

এমনি একটু ছাদে এসেছিলাম খালা হাওয়া খেতে। 

ওহ,আমি ভাবলাম ফির সুইসাইড করতে এসেছো কিনা 

ছিঃ ছিঃ এইসব কি বলছেন আমি কেনো আ*ত্ম*হ*ত্যা করব? এটা মহা পাপ

তুমি আবার পাপও বুঝো? জীবনে না জানি কি পাপ করেছো সেই জন্য আজ তুমি মেহরুলকে একটা সন্তান দিতে পারলে না। 

খালা!

উহু সত্য কথা বললেই দোস্তো বেজার,বলেই তিনি ছাদ থেকে চলেগেলেন।

আমি শুধু নিরবেই কেদে গেলাম কিছুক্ষণ পরেই আবারো আমার শাশুড়ির বোন রোকেয়া এসে বলেগেলো

শোনো এমন ন্যাকা কান্না না করে আমাদের জন্য চা বানাও আর সকালের খাবার বানাও। আজ মেয়েবাড়ির লোকজন আসবেন দিনতারিখ ঠিক করতে

আমার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়টাকে কেউ যেনো খামচে ধোরলো কান্না করতেও ভুলে গেলাম । চিৎকার বিহীন আওয়াজ ছারাই চোখ দিয়ে অশ্রু পরতে লাগলো।  

সকালের সকল কাজ একা হাতে করলাম সবাইকে খাওয়ালাম মেহরুল খেয়ে-দেয়ে অফিস গেছে। আমি বাকি কাজ গুলো সেরে একটু রেষ্ট নিচ্ছিলাম তখনই দরজায় বেল বাজল। আমি উঠতেই যাব তখনি আমার শ্বাশুড়ি এসে আমায় বলল

তুমি রুমে যাও না বলা পর্যন্ত বের হবা না 

আমিও সায় জানিয়ে চলে গেলাম নিজ রুমে।


এইদিকে আমেনা বেগম গিয়ে দরজা খুলে দিলেন চারজন মানুষ ভিরতে ডুকলেন। 

আমেনা বেগম তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন তার বোনকে ডেকে যথাযথ আপ্যান করতে লাগলেন।  যারা এলেন তাদের মধ্যে তিনজন মহিলা আর একজন পুরুষ।  সবাই সোফায় বসে আলাপে ব্যস্ত হলেন। পুরুষটি বলল

দেখুন আমরা কিন্তু এই বিয়েতে মত দিতে চাইনি কারন আগেই একটা বউ আছে তবুও যখন আমার ভাস্তি নিজেই এই বিয়েতে রাজি তখন আমরা আর কি বলব তার খুশিই আমাদের খুশি  

আবার একজন মহিলা যিনি মেয়ের মা বলে উঠলেন 

আমার ভাই ঠিক বলেছেন আমরা তো রাজিই নই কিন্তু মেয়ের জন্য রাজি হয়েছি আশা করি আমার মেয়ে কে সুখে রাখবেন 

আমার শাশুড়ী আমেনা বেগম বলে উঠলো

বিয়ানি একদম চিন্তা করবেন না আপনার মেয়েকে  নিজের মেয়ে করে রাখব শুধু আমাদের বংশের প্রদীব দিলেই হবে।

[আমাদের গ্রামে ছেলে/মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে বেয়াই-বিয়ানি বলা হয় তাই এই সম্মোধনটা দেওয়া হল]

তা আপনার ছেলের আগের বউ কই? আছে নাকি গেছে?

যাবে বিয়ানি আমরাই ডিভোর্স এর ব্যাবস্থা করব।আপনার মেয়ের কোনো অসুবিধা হবে না

এই ভাবে আরো কিছু কথা বলার পর তারা দিন তারিখ ঠিক করলো কাল গায় হলুদ পরদিন বিয়ে। এই সব আমি আড়াল থেকে শুনলাম আজ আমি আর নিজের কাছে কষ্ট প্রকাশ করলাম না অধিক শকে পাথর হয়ে গেলাম যেনো। নিঃশব্দে আড়াল থেকে সরে নিজ রুমে গেলাম। নিয়তিতে কি এটাই ছিলো আমার? আমি কি একটু ভালোথাকার অধিকার রাখি না? অবশেষে কি নিয়তিকে মেনে নিব আমি?

অবশেষে রাত নেমে এলো। রাতের সকল কাজ একাই করলাম কেউ নেই সাহায্য করার মতো আমায় এই বাসায়। আমার শ্বশুড় কাজের জন্য বাহিরে গেছেন কয়দিন থেকে আসবেন ওনি থাকলে হয়তো আমায় সাপোর্ট দিতেন যাক গে সে সব কথা নিয়তিতে যা আছে তাই হবে।  

রাতে সবাই খাবার টেবিলে এলো মেহরুল এখনো বাসায় আসেনি আজ এত লেট কেনো হচ্ছে ভেবে পাচ্ছি না। সবাই খেলো সবাই বলতে শ্বাশুড়ি আর তার বোন আমি খাইনি মেহরুল আসলে একসাথে খাবো ভেবে। 

রাত এগারোটার কাছা কাছি এখনো মেহরুল এলো না। এতো রাতে কথায় সে? এত লেট তো কোনো দিনও হয় না নাকি কোনো বিপদ হলো? নানা এই সব কি ভাবছি আল্লাহ যেনো ওনাকে সুস্থ রাখে।  

ওনার আসার অপেক্ষায় থাকলাম অবশেষে সে এলো। এসেই অফিসের ব্যাগ রেখে ওয়াসরুমে গেলো একটা কথাও বলল না, আমার মনটা বিষিয়ে গেলো যেনো, আমি বসে রইলাম তার আসার জন্য । ওনি ওয়াসরুম থেকে এসে দেখেন আমি বসে আছি তাই বললেন

এতো রাতে জেগে কেনো?

তুমি লেট করলে কেনো? 

ওই একটু দরকারি কাজ ছিলো 

আচ্ছা নিচে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি 

না অনু খাবো না আমি বাহিয়ে খেয়ে এসেছি 

ওহ

আমি ছোট্ট করে উত্তর দিয়ে বেলকনিতে গেলাম। কেমন যেনো বিষন্ন লাগছে যদি একটু বাহিরে গেলে ভালো হয় তাই এলাম।  কিছুক্ষণ নিরব থেকে রুমের দিকে পা বারালাম তখনই মেহরুলের বলা কথা কানে এলো

হুম আজ অনেক ভালোলাগছে কত দিন পর এই ভাবে ঘুরলাম। 

তোমার সাথে আরো সময় কাটাতে ইচ্ছে হচ্ছিলো কিন্তু কি করব বলো রাত অনেক হয়েছিলো তাই আসতে হলো। চিন্তা করো না বিয়ের পর ইচ্ছা মতো তোমায় নিয়ে ঘুরব  

ইয়া

ওকে ঘুমাও গুড নাইট 

মেহরুল ফোনে কথা বলল ওপর জনের কথা শোনা গেলো না, আমি এই সব কথা শুনে আর রুমে ঢুকার সাহস পেলাম না। আল্লাহ আমি এই সব কি শুনলাম?  এর মানে কি এরা আগে থেকেই পরিচিত? সম্পর্কে ছিলো? তা নাহলে বিয়ের কথা চলতেই এত দুর তো গড়ার কথা নয় এরা পূর্বপরিচিত। মেহরুল এই ভাবে আমায় ঠকালো?  

এত বছরের ভালোবাসার এই প্রতিদান দিলো আমায়?  অবশেষে পরকিয়ায় জরিয়ে পরলো? 

আমার নিঃশ্বাস যেনো কেউ চেপে ধরে আছে শ্বাস নিতেও ভুলে গেলাম 

এই মানুষটা বেইমানি করতে পারলো? 

ফির নিঃশব্দে বেলকনিতে এসে মুখে কাপড় গুজে ডুকরে কেদে উঠলাম 'ইয়া আল্লাহ একেমন অবিচার আমার সাথে? 

একটু পর কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে নিজেকে সামনে নিলাম। মেহরুল এসে আমার পাশে দাড়ালো আমি তার দিকে তাকালামও না সে বলল

খেয়েছো তুমি?

হুম

সত্যি? 

মিথ্যা বলার কি আছে?

ঘুমাবে না?

হুম

রুমে চলো

আমি প্রতিউত্তরে কিছু না বলে রুমের দিকে হাটা দিলাম তখনি মেহরুল আমার হাত ধরে বলল

--অনু

আমি ঘুরে দারালাম সে বলল

--অনু আমি আমার সিদ্ধান্ত তো তোমায় জানিয়েছি।  এখন তোমার কিছু বলার আছে? 

--কোন সিদ্ধান্ত? 

--দ্বিতীয় বিয়ের বেপারে  

আমার বুকটা ছেৎ করে উঠলো পরক্ষণেই মনে হলো এই মানুষটা এত অভিনয় কি করে জানে? এমন অভিনয় করে কি একটুও হাপিয়ে যায় না? যেখানে সে আগে থেকেই ওই মেয়ের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে আছে এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সেখানে আমার অনুমতি চাইছে?  মানুষ এমনও হয়? নিজেই নিজের মাঝে প্রশ্ন গুলো রেখে দিলাম। 

আমি মখে একটুকরো হাসি বজায় রেখে বললাম

অনুমতি চাইছো? 

যেটা মনে হয়

যদি অনুমতি না দেই?

মেহরুলের মুখটা যেনো চুপশে গেলো সেটা দেখে আমার হাসি পেলো আমি খানিক হেসেই বললাম

যেখানে মানুষটা নিজেই চাচ্ছে সেখানে আমার মতামত বা অমতামতের প্রশ্ন কথা থেকে আসে মেহরুল? 

মেহরুল যেনো কথা বলার মানে পেলো না আমি আবারো বললাম

যেখানে তুমি নিজেই চাচ্ছ বিয়েটা হক সেখানে আমার লড়াই করার সাদ্ধ নেই। 

মেহরুল মুখ তুলে আমার দিকে তাকালো আমিও চোখে চোখ রেখে নিজেকে শান্ত করে ছোট্ট করে বললাম

আপত্তি নেই 

বলেই নিজ রুমের দিকে হাটা দিলাম মেহরুল অনুর যাওয়ার পানে চেয়ে আছে তার মুখদেখেই বুঝা যাচ্ছে সে একটু বেশি অবাক হয়েছে।

আমি ভাঙা হৃদয় নিয়েই সুয়ে পরলাম বিছানায়। মানুষটা এখন আমার পাশেই ঘুমাবে  ভাবতেই ঘৃণা করছে, কি করে পারলো আমায় ঠকাতে এই মানুষটাকেই কি এতো বছর ভালোবেসে আসলাম? মানুষটাও তো আমায় ভালোবাসে তাহলে সেই ভালোবাসা কই গেলো? একটা সন্তানের জন্য কি ভালোবাসাও হারিয়ে যায়? না জানি কবে থেকে ঠকাচ্ছে আমায় আর আমি বরাবরের মতই ঠকেই গেলাম!

এই সব ভাবতে ভাবতে চোখের কণা দিয়ে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পরলো পরক্ষণেই মুছে নিলাম কার জন্য এই দুচোখ এত কাদে? আচ্ছা যার জন্য কাদে সে কি একটু বুঝেনা আমার হৃদয়ের ব্যথা? মানুষটা কি সত্যিই আর আমার নেই? 

রুমে কারো উপস্থিত বুঝতে পেরে নিজেকে শান্ত করলাম। মেহরুল আমার পাসে এসে সুয়ে পরলো আমি খানিকটা দূরে সরলাম  

তা দেখে মেহরুল বলল

অনু, 

আমি প্রতিউত্তরে কিছু বললাম না দেখে সে আবারো বলল

--অনু তুৃমি কি রেগে আছো?

আমি এবার তার দিকে ফিরলাম। মেহরুলের মুখ পানে চেয়ে বললাম

--রেগে থাকার তো কোনো কারণ দেখছি না,কোন কারনে রেগে থাকার কথা বলছো?

--এই পরিস্থিতির কারণে 

--এতে রাগ হবে কেন?

--তুমি সত্যি মেনে নিয়েছো?

আমি ভাঙা হৃদয় নিয়ে গলা সতেজ রেখেই বললাম

--তুমি চাইলে জন্যই তো মেনে নিলাম  

আমার কথা শুনে  মেহরুল যেনো খুশিই হলো আর আমার মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসবে এমন অবস্থা তবুও নিজেকে তার সামনে ঠিক রাখলাম। সে হাসি মুখে বলল

--thanks অনু তুমি হয় তো জানোই না আমি তোমার সিদ্ধান্ত নিয়ে কত চিন্তিত ছিলাম অবশেষে জানিয়ে দিলে। এখন অনেকটা হালকা লাগছে 

আমি মানুষটাকে দেখে আবাক হই! যেই শুনলো আমি অনুমতি দিয়েছি তাতেই তার খুশির সীমা নেই এই তার ভালোবাসা? আমার মুখের কথাটাই দেখলো কিন্তু আমার হৃদয়ের ব্যথাটা বুঝলো না আমি ঠিক নেই সেটাও বুঝলো না? এ কেমন মানুষকে ভালোবাসলাম আমি? সে কি আদো আমার ভালোবাসা পাওয়ার যগ্য?

আমি মুখে একটু হাসি এনে বললাম

--একটা কথা বলব মেহরুল? 

সে আমায় জরিয়ে গলায় মুখ গুঁজে বলল

--হুম বলো

আমার ভীষণ অস্বস্তি হতে লাগলো তবুও নরলাম না হয়তো এটাই এই মানুষটার শেষ স্পর্শ পাচ্ছি এর পর হয়তো অন্যকেউ এর ভাগিদার হবে,ভাবতেই বুকটা যেন কেঁপে উঠলো নিজেকে শান্ত করে বললাম

--সত্যি করে বলবে

--হুম সত্যি 

--তুমি কি শুধু সন্তানের জন্যই বিয়ে করবে?

সে আমার কথা শুনে মুখ তুলে আমার দিকে তাকায়। চোখে চোখ রেখে বলে 

--তাছারা আর কি হবে?

--সত্যি? 

--মিথ্যা বলব কেনো?

আমার কেনো যানি এই কষ্টের সময়ও হাসি পাচ্ছে একজন মানুষ কি করে চোখে চোখ রেখে এত সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারে। ঠোঁটের কোনায় হাসি এনে বললাম

--তাই যেনো হয় মেহরুল 

বলেই তার থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিলাম নিজের মাঝেই চাপা কষ্ট গুলো দাফন করে চোখ বুজে নিলাম। 

ভোর হয়েছে আজানের মধুর সুর কানে এসে বাজতে লাগলো। আমার উঠতেই ইচ্ছে হচ্ছে না অনেক রাতে চোখ দুটো লেগেছিলো তাই উঠতে ইচ্ছে মন চাচ্ছে না তবুও নামাজের জন্য কষ্ট করে উঠলাম।

নামাজ শেষে রোজকারের মতো আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম ইনশা-আল্লাহ আমার আল্লাহ আমায় নিরাশ করবেন না।  আমার তখনো ঘুমেট রেস কাটেকি তাই আর একটু সুয়ে পরলাম কখন যে চোখ লেগে গেলো বুঝতেই পারলাম না। যখন চোখ খুললাম তখন আটটা বাজে প্রায় আমার মাথায় আকাশ ভঙ্গে পরলো যেনো।কত কাজ করা বাকি আল্লাহই জানে আজ কপালে কি আছে। তারাতাড়ি উঠে নিচে নামলাম নামতেই শুনতে পেলাম আমার শ্বাশুড়ি বলছে

--এই যে দেখো, দেখো আমাদের মহারানি এসেছেন এখন বুঝি আপ্যায়নও করা লাগে 

আমি মাথা নিচু করে বললাম,

--মা দুঃখিত আসলে বুঝতেই পারিনি এত বেলা হয়েছে 

--তা তুমি বুঝতে পারবে কোনো? তুমি তো কাজ থেকে বাজতে পারলেই বাচো। ছোটো লোকের মেয়ে কথা কার 

--মা! 

--চেচাবে না মেয়ে, সত্যি কথা বললে গায় লাগে 

আমি এবার একটু রাগি গলায় বললাম

--মা আপনি কি আদো জানেন ছোটো লোক কাকে বলে? এই যে আপনাদের মত কিছু উঁচুশ্রেণীর লোকরা একটু মান পেলেই মাথায় চরে বসেন কিন্তু মনের দিক থেকে সেই নোংরা মস্তিষ্কের ছোটলোকেই থেকে যান। 

--কি বললে তুমি?

আমানে বেগম একটু চেচিয়েই বলল। আমিও শক্ত গলায় বললাম 

--আপনি যা শুনেছেন সেটাই বলছি মা। আর কি যেনো বললেন আমি কাজ থেকে বাচতে পারলেই বাচি?  তাহলে এই তিন তিনটা বছর কে আপনার সংসারটা গুছিয়েছে? কে ভোরে উঠেই কাজে লেগে পরেছিলো?  খেয়েনা খেয়ে কে এই সমস্ত কাজ একা হাতে সামলেছে? 

আমি নাকি আপনি? 

--তোমার সংসারে তুমি কাজ করবে না তো অন্য কেউ এসে করবে? 

--তাহলে আমার সংসারে আমার মত থাকতে দিচ্ছেন না কেন? 

--তুমি আমার মুখে মুখে কথা বলছ? 

--হ্যাঁ বলছি 

তিনি আর কিছু না বলেই হনহন করে মেহরুলের রুমের দিকে চলে গেলেন নিশ্চিত এখন সে তার ছেলের কান ভাড়ি করবে। তাতে এখন আর আমার যায় আসে না এদের অনেক ছার দিছি মা ছেলে মিলে আমার জীবনটা অতিষ্ঠ  করে তুলেছে। 

কথায় কথায় আমার শ্বাশুড়ি আমাকে আমার বাবা-মা তুলে গালি দেয় কথা শুনায়, আমি  মেয়ে হয়ে তা কি করে সহ্য করব?  সয্যেরও একটা সীমা থাকে। আমি ভালোবাসার কাঙ্গাল হতে পারি কিন্তু বাবা-মাকে নিয়ে কথা বললে আমি কাউকে আর পরোয়া করবো না। অনেক সহ্য করেছি ছেড়ে দিয়েছি আর না।কিছুক্ষণ পরেই আমার শ্বাশুড়ি আর মেহরুল নিচে আসলো। মেহরুলের চোখে এখনো ঘুম ঘুম ভাব, মনে হয় বেচারাকে টেনেটুনে নিয়েএসেছে এই মহিলা।

মেহরুল তার মায়ের উদ্দেশ্য বলল

--মা এখন বলো, ঘুমটাই নষ্ট করে দিলে 

--তোর বউ এই কালনাগিনী আমায় কি বলে জানিস 

--কেন অনু আবার কি বলল?

--ওর থেকেই শোন,

মেহরুল আমার দিকে জিজ্ঞাসু  চাহনিদের তাকালো, আমিও কম কি না বুঝার ভান করলাম কারন মেহরুল একটা বেপার ভালো করেই জানে  তার মা আমায় আগে থেকেই পছন্দ করত না  কারোনে অকারনে কথা শুনাতো কিন্তু আমি মুখ বুজে সয্য করতাম প্রতিউত্তর করতাম না 

এটা সে ভালো করেই জানে।  কিন্তু আজ আমি এতো বছরে যা করিনি তা করলাম তাই হয়তো সেও বিশ্বাস করবে না তাই আমি না বুঝার ভান করে বললাম

--আমি কিছু করি নি 

মেহরুল যেনো বিশ্বাস করলো তবুও বলল

--তাহলে মা আমায় টেনেটুনে নিয়ে এলো কেন 

সেটা তোমার মা কেই জিজ্ঞেস করো, 

সে এবার মার দিকে তাকালো, তিনি রাগী কন্ঠে বলল 

--এই মেয়ের কথা বিশ্বাস করলি তুই?

--মা বলবে তো কি হয়েছে?  

তোর এই অপয়া বউ আমার মুখে মুখে তর্ক করে, কত বড় সাহস!

কেনো কি বলেছে তোমায় অনু?

আমেনা বেগম আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে 

মেহরুলকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো


আজ এই অলক্ষী অপয়া ঘুম থেকে দেরি করে উঠেছে বলে কিছু কথা বলেছি ওমনি সে আমার মুখে মুখে কথা বলা শুরু করল,

কথাটা বলেই আমার শ্বাশুড়ি মেহরুলের দিকে তাকায় অমনি তার

মাথায় রক্ত উঠে গেলো কারন মেহরুল সিঁড়িবে উপরে উঠছে আর হাত নারিয়ে বলছে

মা এই সব বেপারে আমায় ডাকা লাগে? তুমিও না মা দিন দিন আরো কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছ 

মেহরুলের কথা শুনে আমার শ্বাশুড়ি আরো ক্ষেপে উঠল। আর তার এই অবস্থা দেখে আমার ভীষণ হাসি পেলো অনেক কষ্টে হাসি চেপে রান্না ঘরে গেলাম কত কাজ পরে আছে। আজ মেহরুলের অফিস নেই আজ যে তার গায় হলুদ কথাটা মনে পরতেই যেনো থমকে গেলাম। মানুষটাকি পারবে অন্য নারীকে আমার আসনে বসাতে? হ্যাঁ পারবেই তো সে নিজেই চাচ্ছে যেহেতু এটা কোনো বেপারনা। আচ্ছা সেকি আমায় ডিভোর্স দিয়ে দিবে?

তার কাছে আমি ছিলাম শুধু একটি নামহীন উপস্থিতি,অথচ সে আমার হৃদয়ের প্রতিটি ছন্দে লুকিয়ে ছিল চিরকাল।  আজ কেনো যানি তেমন একটা কষ্ট হচ্ছে না আমার কার জন্য এই কষ্টে ডুবে থাকব? যার জন্য কষ্ট পাবো  সে তো অন্য কাউকে নিয়ে সুখেই থাকবে সেখানে আমার কষ্ট প্রকাশ করা বৃথা।


ভালোবাসার চেয়ে বড় কষ্ট তখনই হয়,যখন সেই মানুষটাই তোমার যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়! যার কাছে তুমি আশ্রয় খুজে ছিলে


আজ এই কথাগুলোই আমি আমার মাঝে খুজে পাচ্ছি। 

তাকে ভালোবাসতাম অবিরাম অথচ সে চোখে চোখ রেখেই বোঝাতো-আমি তার পৃথিবীর বাইরের কেউ   আর তার জন্যই আমি ধুকেধুকে মরছি নিয়তির কি পরিহাস।


আর ভাবতে পারলাম না কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে । একটু পরেই এই বাড়ি থেকে  লোকজন মেয়ের বাড়িযাবে হলুদ দিতে। আমার শাশুড়ির আত্মীয়রা এসেছে  দুপুরে এখন প্রায় সন্ধ্যা হতে চলল।  বেশ ভালই লোকজন এসেছে কত জনের মুখে কত কথা,কেউ কেউ আমার হয়ে দুঃখ প্রকাশ করছে আবার কেউ কেউ মজা নিচ্ছে।

একটু আগে মেহেরুল কে দেখলাম ফোন হাতে ছাদে যেতে হয়তো তার  হবু বউের সাথে প্রেম আলাপ করবে। একটা বিষয় মানতে ভীষণই কষ্ট হচ্ছে  আমি থাকতেও সে পরকীয়ায় জড়ালো এবং আমার চোখে চোখ রেখেই মিথ্যা কথাও বলল  এই মানুষটাকে চিন্তে আমার পাঁচটা বছর লাগলো? 


এই সব ভাবতেছিলাম   তখনি আমার শাড়ীর আচলে টান পরে আমি হকচকিয়ে পিছন ফিরলাম কিন্তু কাউকেই দেখলাম না শাড়ির আঁচলে টান লক্ষ্য করে তাকালাম দেখলাম একটা পিচ্চি মেয়ে! বয়স তিন বা চার হবে এমন, কি যে মিষ্টি দেখতে মাশআল্লাহ! মাশআল্লাহ মনে হয় একটুকরো চাঁদের কণা নেমে এসেছে আমার সামনে কি যে শুভ্র লাগছে  একটু আদর করে দিতে ইচ্ছে হলে যেনো। আমি পিচ্চিটার সামনে হাটু গেড়ে বসে বললাম 


--তেমার নাম কি মেয়ে?


সে জেনে ভয় পেলো একটু সরে গেলো আমার থেকে আমি মিষ্টি করে হেসে বললাম 


--ভয় পেওনা সোনা বলো তোমার নাম কি?


বাচ্চাটা কিছু বলল না ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো 

আমি আবারো বললাম


--এখানে কি করে এলে? 


সে হাত দিয়ে ইশারা করলে ছাদে। আমি হাতের ইশারায় সেদিকে চোখ রাখলাম কিছুই বুঝতে না পেরে বললাম


--ওখানে কি?যাবে ওখানে? 


সে কিছু বলল না দেখে আমি কলে তুলে নিলাম।  এমন মিষ্টি মেয়েকে কোলে না তুলে পারি?  ভীষণ ভারী মিষ্টি মেয়ে গাল দুটো কেমন লাল টকটকে হয়ে আছে রৌদ্রের তাপে মনে হয় এমন হয়েছে। আমি আমার রুমের বেলকনিতে এসেছি এখানেও রোদের তাপ ছড়িয়ে পড়েছে  বুঝলাম না মেয়েটা কি করে এখানে এলো। নিজের রুমে পিচ্চিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম  


ওমনি কেউ একজন দ্রুত বেগে আমার কোলে থাকা মেয়েটিকে নিজের কাছে টেনে নিলো আর বাচ্চাকে  রাগি কন্ঠে বলতে লাগলো 


--তুমি এখানে কি করছো শুনি? কত জাগায় খুজলাম তোমায় জানো? আমার জান যায় যায় অবস্থা , আমায় হন্ন করাতে তোমার ভালো লাগে?  


মেয়েটি মনে হয় এবার কেদেই দিবে এমন ভাব, তাই আমি কিছু বলতে নিব তখনি পুরুষটি আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে


-- মেহরিমা এখানে কি করে এলো? আপনি নিয়ে এসেছেন? 


আমি হতভম্ব। একটু অবাক হয়েই আসল কথা বলতে যাবো তাতেই কথা ঘুরিয়ে বললাম 


--আসলে বাচ্চাটা একা একা ঘুরছিলো তাই আমার কাছে এনেছি গল্প করার জন্য 


পুরুষটি কন্ঠে হালকা রাগ এনে বলল


--আপনি কি গার্ডিয়ানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন? 


আমি আমতা আমতা করে বললাম 


--না দুঃখীত আসলে...


থাক আর কিছু বলতে হবেনা । পরবর্তীতে কারো বাচ্চা নিয়ে এলে গার্ডিয়ানকে বলে আনবেন যেনো আমার মত হন্ন হতে না হয়। 

বলেই পুরুষটি হনহন করে চলে গেলো  আমি ব্যাক্কলের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম শুধু  ফ্যাল ফ্যাল করে। 

পুরুষটির পরনে দামি পোশাক ছুট-বুট পরা কি তার চুলের স্টাইল, মুখে চাপ দাড়ি সাইজ করা মনে হয় কোন সুপুরুষ  লম্বায় একদম পারফেক্ট,তো তাতে আমার কি? আমার এসব দেখার টাইম নাই  আমায় ভাব দেখিয়ে চলেগেলো যেনো আমি বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করেছি 

কি তেজ রে বাবাহ এই পুরুষের। আমায় কথা শুনিয়ে চলে গেলো।

কেমন হলো জানাবেন সবাই নেক্সট পার্ট কি আনব?

সবাই একটু সাপোর্ট করেন প্লিজ আপনাদের রেস্পন্স এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পর্বে আসবে!

Post a Comment

0 Comments